Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
মধুপল্লী
স্থান

সাগরদাঁড়ি

কিভাবে যাওয়া যায়

সড়ক পথে- ঢাকা থেকে ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কে যশোর অতিক্রম করে রাজার হাট নামক স্থান হতে সাতক্ষীরা রোডে প্রায় ৩৬ কিঃমিঃ কেশবপুর উপজেলা পরিষদ ।পরিষদ হতে কেশবপুর টু সাগরদাঁড়ী প্রায় ১৬ কি:মি: অতিক্রম করে মহাকবি মাইকেল মধুসূধন দত্তের পৈতৃক জন্ম ভূমি।

বিস্তারিত

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের পরবারের সাগরদাঁড়িস্থ আবাসস্থলটি ঘিরে মধুপল্লী স্থাপিত হয়েছে। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি এ বাড়িতে মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রপিতামহ রামকিশোর দত্ত খুলনা জেলার তালা উপজেলার গোপালপুর গ্র্রামের অধিবাসী ছিলেন। তাঁর পিতামহ রামনিধি দত্ত ছোট ভাইদের নিয়ে মামার বাড়ি সাগরদাড়িতেঁ চলে আসেন। রামনিধির চার ছেলের মধ্যে রাধামোহন আদালতের সেরেস্তাদার, মদনমোহন মুন্সেফ, দেবীপ্রসাদ ও রাজনারায়ণ উকিল ছিলেন। রাজনারায়ণ দত্ত কলকাতায় ওকালতি করে প্রচুর অর্থশালী হয়েছিলেন। তিনি সাগরদাড়িতেঁ জমিদারি ক্রয় করেন ও বাড়িতে কিছু অট্টালিকা ও দেবালয়টি স্থাপন করেন। অপূর্ব নির্মাণশৈলীর দেবালয়টিতে প্রতিবছর দুর্গাপূজা হয়। এ বাড়ির পূর্ব-পশ্চিম পার্শ্বে তার জ্ঞাতিদের বাড়ি ও জমিদারির কাছারি রয়েছে। পশ্চিম পার্শ্বের বাড়িটিতে জন্ম নিয়েছেলেন মধুসূদনের ভ্রাতুষ্পুত্রী কবি মানকুমারী বসু। ১৯৬৮ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বাড়িটি সংস্কার করে এবং ১৯৯৬-২০০১ সালে এলাকাটি দেয়াল বেষ্টিত করে একটি কুটিরের আদলে গেট, একটি মঞ্চ, দুটি অভ্যর্থনা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এ সময় বাড়ির সমুদয় স্থাপনাকে পুনঃসংস্কার করে বর্তমান রূপ দেয়া হয়।

মধুসূদনকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, সাগরদাঁড়ি পর্যটন কেন্দ্র, মধুসূদন মিউজিয়াম। কপোতাক্ষের পাড়ে কবির স্মৃতি বিজড়িত কাঠবাদাম গাছ ও বিদায় ঘাট পর্যটকদের আকর্ষণ করে। কথিত আছে ১৮৬২ সালে কবি যখন সপরিবারে সাগরদাঁড়িতে এসেছিলেন তখন ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে জ্ঞাতিরা তাঁকে বাড়িতে উঠতে দেয় নি। তিনি এ কাঠবাদাম গাছের তলায় তাঁবু খাটিয়ে ১৪ দিন অবস্থান করে, বিফল মনে কপোতাক্ষের তীর ধরে হেটে বিদায়ঘাট হতে কলকতার উদ্দেশ্যে বজরায় উঠেছিলেন। ১৯৬৫ সালে ২৬ অক্টোবর তদানীন্তন সরকার বাড়িটি পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে। মধুসূদনের পরিবারের ব্যবহার্য কিছু আসবাবপত্র ও অন্যান্য স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে এ বাড়িতেই প্র্রতিষ্ঠিত হয়েছে মধুসূদন জাদুঘর। স্থাপিত হয়েছে লাইব্রেরি।