কেশবপুর উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগলিক অবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত এই উপজেলার ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন কথ্য ভাষায় আকারের বিকৃতি এবং মহা প্রাণ ধ্বনি অনেকাংশে অনুপস্থিত, অর্থাৎ ভাষা সহজী করণের প্রবণতা রয়েছে।হিন্দু অধ্যুষিত এ এলাকার মানুষের আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, সংস্কৃতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।এই এলাকার ইতিহাস পর্যালোচনায় সভ্যতার অনেক নিদর্শন পাওয়া যায়। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ভাষা সাহিত্যে উর্ল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।তিনি সনেটের প্রবর্তক।মধুপল্লীতে রয়েছে প্রত্নতত্ব বিভাগসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।এখানে ধীরাজ ভট্রাচার্যের ও মনোজ বসুর বাড়ি রয়েছে। কেশবপুর সদর হতে ১৯ কিলোমিটার দূরে ভদ্রা নদীর তীরে ভরতের দেউল অবস্থিত। বাংলার সবেদার শাহ গুজার শ্যারক পুত্র মির্জা সাফসি খান ১৬৪৯ খ্রি: যশোর ফেৌজদার নিযুক্ত হন। কেশবপুর হতে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে কপোতাক্ষ োবুড়িভদ্রা নদীর সঙ্গমস্থল ত্রিমোহিনী নামক স্থানে বসবাস করতেন। এখানেই মির্জানগর হাম্মামখানা অবস্থিত। এ এলাকায় রাজবংশী এবং মুণ্ডা ক্ষুদ্র জাতিসত্বা বসবাস করে কিন্তু তাদের কোন নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি নেই । কেশবপুর উপজেলা ভাষা ও সাংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস